09 May 2024, 01:17 pm

বই পড়ে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে দেশ ও সমাজে অবদান রাখা সম্ভব : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, পৃথিবীকে অশুভ মানুষের দখল মুক্ত করার অন্যতম হাতিয়ার হলো বই। বই মানে আলো। বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারলে সমাজ রাষ্ট্রসহ সব জায়গায় আলোকিত মানুষ হিসেবে অবদান রাখা সম্ভব।
তাজউদ্দীন আহমদ এন্ড সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পরিচালিত বছরব্যাপী স্কুলভিত্তিক বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিমিন হোসেন বলেন, বই পড়ার মাধ্যমে মস্তিষ্কের কাজের ক্ষমতা বেড়ে যায় বহুগুণ। মানুষের মন এবং মননশীলতা বিকাশে তাই বইয়ের ভূমিকা অপরিসীম। বই পড়ে মানুষ তাদের প্রসারিত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সমাজকে নানা ক্ষেত্রে আলোকিত করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃত শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করে। পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি অন্য বইও পড়তে হবে। এতেই নিজেকে বিকশিত করা সম্ভব। আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যেই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই বইপড়া কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
শনিবার কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের লতাপাতা বাজারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাজউদ্দীন আহমদ এন্ড সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি’র সভাপতিত্বে এবং পারভেজ আহমেদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ রাজীব হোসেন।
অনুষ্ঠানে সোহেল তাজ বলেন, বই মানুষের মনকে ঐশ্বর্যবান করে তোলে। বইয়ের ভেতরে ছড়িয়ে আছে জ্ঞানবিজ্ঞানসহ মানবজীবনের অতীত-বর্তমানের নানা ঘটনা। এছাড়াও বই থেকে আমরা জানতে পারি প্রেরণাদায়ক মানুষের জীবনের গল্প। স্বাধীনতা এবং মুক্তির জন্য এই দেশের মানুষের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। সেই গৌরবময় ইতিহাসের এক অনন্য মানুষ বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ। যিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় এক গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। বইয়ের মাধ্যমে তার জীবন থেকে প্রেরণা নিয়ে নিজেদেরকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে এবং  উন্নত বাংলাদেশ গড়তে স্বকীয় ভূমিকা রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে তাজউদ্দীন আহমদ এন্ড সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কাপাসিয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরব্যাপী বইপড়া কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। ২০২৩ সালে বইপড়া কর্মসূচির বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় ২২,০০০ ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে থেকে  ৫৪৮ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 3553
  • Total Visits: 710184
  • Total Visitors: 2
  • Total Countries: 1125

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ বৃহস্পতিবার, ৯ই মে, ২০২৪ ইং
  • ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
  • ১লা জ্বিলকদ, ১৪৪৫ হিজরী
  • এখন সময়, দুপুর ১:১৭

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018